সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে অনলাইন আউটসোর্সিং খাতের সবচেয়ে জনপ্রিয়
অর্থ আদান প্রদান মাধ্যম (পেমেন্ট প্রসেসর) পেপল আন্তজার্তিক লেনদেনের
সুবিধা দিবে। এতে করে বিশ্বব্যাপী ফান্ড ও রেমিটেন্স ট্রান্সফার করতে
পারবেন এর সেবাগ্রহীতারা। দেশের ফ্রিল্যান্স্যারদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ
হতে যাচ্ছে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট পেপল সেবা চালুর জন্য সোনালী ব্যাংককে অনুমোদন দিয়েছে।
সোনালী ব্যাংক সুত্র জানায়, ইতোমধ্যে পেপলের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এখন সফটওয়্যারের উন্নয়ন এবং সমন্বয়টা বাকি রয়েছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এ সুবিধা চালু করার জন্য ক্যালিফোর্নিয়াতে পেপলের
ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)
বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তারা বাংলাদেশে সেবা চালুর বিষয়ে
সম্মতি জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় কিছুদিন আগে
আইসিটি বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আমরা পেপলকে আনার সব ধরনের চেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছি। আরেকটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, পেপল পেতে হলে যেসব
যোগ্যতা লাগে তার সবই বাংলাদেশের রয়েছে।
এর আগে পেপলের সম্ভাব্য ব্যবসায় হাবগুলোর (বিজনেস ডেস্টিনেশন) তালিকায়
বাংলাদেশের নাম ছিল না। দেশে বর্তমানে অনলাইন মার্চেন্ট পায়োনিয়ার,
অ্যালার্টপে ও মানিবুকারস তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের ১৯৩টি দেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পেপল। প্রায় ১৪ কোটি
৭০ লাখ ব্যবহারকারী ২৬টি মুদ্রায় পেপলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করছেন। ১৯৯৮
সালে প্রতিষ্ঠিত পেপলকে ২০০২ সালে মার্কিন ই-কমার্স সাইট ই-বে কিনে নেয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন